- +8801816638366
- info@gyandeep.org
গঠনতন্ত্র
গ্রামঃ- কররা, কাওয়ালজানী, কান্দাপাড়া,
ডাকঘরঃ আটঘড়ি, উপজেলাঃ মির্জাপুর, জেলাঃ টাঙ্গাইল।
Email: info@gyandeep.org
Website: www.gyandeep.org
| অনুচ্ছেদ | বিবরণ | পৃষ্ঠা নং |
| অনুচ্ছেদ - ০১ | মূখবন্ধ ও ইতিকথা | ৩-৪ |
| অনুচ্ছেদ - ০২ | প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও প্রতিষ্ঠাকাল | ৫ |
| অনুচ্ছেদ - ০৩ | প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি | ৫ |
| অনুচ্ছেদ - ০৪ | লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য | ৫ |
| অনুচ্ছেদ - ০৫ | মনোগ্রাম/প্রতীক | ৫ |
| অনুচ্ছেদ - ০৬ | আর্থিক বা কর্ম বৎসর | ৫ |
| অনুচ্ছেদ - ০৭ | সদস্যের ধরণ, যোগ্যতা ও ক্ষমতা | ৫-৭ |
| অনুচ্ছেদ - ০৮ | সদস্য পদ বাতিল | ৭-৮ |
| অনুচ্ছেদ - ০৯ | সদস্যদের অধিকার ও কর্তব্য | ৮ |
| অনুচ্ছেদ - ১০ | উপদেষ্টা পরিষদ | ৮ |
| অনুচ্ছেদ - ১১ | কার্যনির্বাহী পরিষদ | ৯ |
| অনুচ্ছেদ - ১২ | কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন/নির্বাচন, এ্যাডহক কমিটি গঠন ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন | ৯-১০ |
| অনুচ্ছেদ - ১৩ | কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা | ১১-১২ |
| অনুচ্ছেদ - ১৪ | পদত্যাগ/পদ শূন্য | ১৩ |
| অনুচ্ছেদ - ১৫ | সভাসমূহ | ১৩-১৪ |
| অনুচ্ছেদ - ১৬ | কোরাম | ১৪ |
| অনুচ্ছেদ - ১৭ | তহবিল সংরক্ষণ ও পরিচালনা | ১৪ |
| অনুচ্ছেদ - ১৮ | হিসাব ও হিসাব নিরীক্ষা | ১৫ |
| অনুচ্ছেদ - ১৯ | গঠনতন্ত্র সংশোধন | ১৫ |
| অনুচ্ছেদ - ২০ | প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি | ১৫ |
“ ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ একটি আরবি বাক্যবন্ধ; যুগল বাক্য। এর সরল বাংলা অর্থ, পরম করুণাময় অসীম দয়ালু আল্লাহতায়ালার নামে (শুরু করছি)।”
গঠনতন্ত্র
অনুচ্ছেদ - ১ (ক)
মূখবন্ধঃ
ছায়াঘন সবুজ গাছ-গাছালি বেষ্টিত গ্রামের নাম হলো কররা, কাওয়ালজানী, কান্দাপাড়া। গ্রামগুলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের অর্ন্তগত অনেক পুরাতন গ্রাম। ১৯৩৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাওয়ালজানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৮৫ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কররা কাওয়ালজানী দাখিল মাদ্রাসা এবং গ্রামের অভিজ্ঞ, সুদক্ষ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯০ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কররা কাওয়ালজানী কান্দাপাড়া জামে মসজিদ। ১৯৯২ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রগতি সংঘ। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০০ ইং সালে স্থাপিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক।
সেই অতীত কাল হতেই এই সকল গ্রামে জন্ম গ্রহনকারী অনেক মানুষ দেশ বিদেশে সুনামের সাথে কৃর্তিবান হয়ে গ্রামের গৌরব বৃদ্ধি করে আসছে । অত্র গ্রামে শিক্ষার আলো ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অংঙ্গনের খুটি যে অনেক মজবুত তার প্রমাণ মেলে এই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ, বার্ষিক খেলাধুলা, নাট্যানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় সভা ও ইসলামিক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে ।
পাঠাগার সাহিত্য চর্চা ও বিনোদনের একটি সবুজ সংস্থা, জ্ঞানের আশ্রম, শান্তির নীড় ও অসা¤প্রদায়িক ভাতৃপ্রতীম প্রতিষ্ঠান। আলোকিত মানুষ তৈরিতে গ্রন্থাগারের অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আপামর জনমনে প্রভাব বিস্তার করেছে। সুস্থ মানুষের জন্য পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দেরীতে হলেও আমরা এ সত্য অনুধাবন করতে পেরেছি।
কররা, কাওয়ালজানী, কান্দাপাড়া গ্রামের মানুষগুলো যেন একে অপরের সাথে মিলে মিশে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছাটিই এই কোমল মনের মানুষের আন্তরিকতার বহিঃ প্রকাশ। এমতাবস্থায় তাদের জন্য একটি পাঠাগার এবং পাঠ গ্রহনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকলে নিজেরা সমৃদ্ধহয়ে আলোকিত মানুষ হবে। এলাকার নর-নারী নির্বিশেষে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা, অধ্যবসায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন, মানবিক মূল্যবোধের উদ্বুদ্ধকরণ, শিক্ষার প্রসার, সামাজিক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও অবক্ষয় রোধকল্পে পাঠাগার একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে সতেচন এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন। শিশুদের আগামী দিনের সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে এ পাঠাগার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাঠাগার জ্ঞানের প্রদীপ হয়ে জ্ঞান বিস্তরণে অবিচল থাকবে নিড়ন্তর।
অনুচ্ছেদ - ১ (খ) ঃ ইতিকথা ঃ
গ্রামকে সবাই ভালবাসে, বিশেষ করে যারা গ্রাম হতে বাহিরে অবস্থান করে থাকেন, ধারণা করছি তাদের ভালবাসাটা বেশী দৃশ্যমান, কারণ যেহেতু তারা কর্মের তাগিদে গ্রামের বাহিরে অবস্থান করেন তাই স্মৃতিবিজরীত গ্রামটাকে প্রচন্ড ভাবে অনুভব করেন। সত্যি কথা বলতে গ্রামকে সবাই ভালবাসে, তবে গ্রাম থেকে বাহিরে অবস্থান করা লোকদের আবেগটা একটিু বেশী। যখন গ্রামের মধ্যে কোন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়, তখন গ্রামের সবাই এক হয়ে নিজ গ্রামের বিজয় ছিনিয়ে আনতে একযোগে কাজ করেন এবং বিজয় উপভোগও সমানভাবে উল্লাস ব্যক্ত করেন, ঠিক তেমনিভাবে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামের পার্থক্যও আমরা প্রকাশ করি বিভিন্ন উপায়ে। দিন দিন আমাদের এলাকায় শিক্ষার হার বাড়তে থাকে, পরিবর্তন হয় সুচক। আমাদের যেমন দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য রহিয়াছে নিজের ছেলে-মেয়েকে সুশিক্ষিত করে আলোকিত মানুষ করার, ঠিক তেমনি দায়-দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে পরিবারের নিকট, সমাজের নিকট, গ্রামের নিকট তথা দেশের নিকট। আমরা চাই আমাদের দেশ তথা আমাদের গ্রাম পৃথিবীর সকল দেশ ও মানুষের কাছে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকুক। আমাদের প্রত্যাশা গ্রামের সু-শিক্ষিত-মেধাবী ও আলোকিত ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের প্রথম শ্রেণীর নাগরিক হয়ে উঠুক, নেতৃত্ব দিবে বাংলাদেশকে। এই চিন্তা চেতনায় মোহাম্মদ আবুল কাশেম অত্র এলাকার সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তার ব্যক্তিদেরকে নিয়ে এলাকায় একটি গণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন।
প্রতিষ্ঠালগ্নে গ্রন্থাগারের ২০ (বিশ) জন প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের আর্থিক ও সার্বিক সহযোগীতায় শুরু হয় গ্রন্থাগারের আনুষ্ঠানিক যাত্রা।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের নামের তালিকাঃ
| ক্রমিক নং | প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের নাম | গ্রাম/ ঠিকানা |
| ০১ | এস. এম. মতিয়ার রহমান | কাওয়ালজানী |
| ০২ | আব্দুল ওহাব মিয়া | কররা |
| ০৩ | মোহাম্মদ আশরাফ উজ্জামান | কাওয়ালজানী |
| ০৪ | মোঃ আমিনুর রহমান | কররা |
| ০৫ | মোহাম্মদ আবুল কাশেম | কররা |
| ০৬ | ডঃ মোহাম্মদ রুহুল আমিন | কররা |
| ০৭ | মোহাম্মদ ইয়া রারীউল মুশা (মনির) | কররা |
| ০৮ | আনোয়ার হোসেন | কররা |
| ০৯ | মোহাম্মদ আব্দুল কাদের মিয়া | কররা |
| ১০ | মোহাম্মদ আব্দুল হক | কররা |
| ১১ | মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান | কাওয়ালজানী |
| ১২ | মাহমুদুল হাসান (মামুন) | কররা |
| ১৩ | রাজিব হোসেন | কররা |
| ১৪ | মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন | কররা |
| ১৫ | আব্দুস সবুর মিয়া | কান্দাপাড়া |
| ১৬ | মোঃ আজাহারুল ইসলাম | কররা |
| ১৭ | তারেক হোসেন | কররা |
| ১৮ | মোঃ আমজাদ হোসেন | কররা |
| ১৯ | মোঃ আবু সায়েম | কররা |
| ২০ | মিসেস ফায়জুন্নাহার | কররা |
অনুচ্ছেদ - ৩ - প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি
ইহা একটি বেসরকারী পাঠাগারকেন্দ্রীক সমাজকল্যানমূলক ধর্ম নিরপেক্ষ ও অরাজনৈতিক উদারচিত্ত বিকাশের প্রতিষ্ঠান।
অনুচ্ছেদ - ৪- লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ক) পরিশীলিত জীবন গঠনের লক্ষ্যে সমৃদ্ধিশালী পাঠাগার স্থাপন ও জনগনের পাঠসেবা প্রদান।
খ) এলাকার আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা প্রদান।
গ) এলাকাবাসীর জন্য বই পড়ার মাধ্যমে সুস্থ্য অবসর বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি করা।
ঘ) সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে দায়িত্ব পালন।
ঙ) এলাকার জনগণের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, বাল্য বিবাহ রোধ, মাদকমুক্ত সমাজ, স্বাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি বিষয়ে সতেচনতা বৃদ্ধি করা।
চ) সন্ত্রাস, অপসংস্কৃতি ও কুসংস্কারের বিপরীতে সুস্থ্য সংস্কৃতি চর্চা ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভংগী গড়ে তোলা।
অনুচ্ছেদ - ৬ - আর্থিক বা কর্ম বৎসর
প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বা কর্ম বৎসর হবে ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন।
অনুচ্ছেদ - ৭(১) - দাতা সদস্য (Donar)
ক) যে কোন হিতাকাংখী, জনদরদী ব্যক্তিবর্গকে এককালীন ৫০,০০০/= (পঞ্চাশ হাজার) টাকা কিংবা সমপরিমাণ সম্পত্তি দান করতঃ এই গ্রন্থাগারের দাতা (উড়হধৎ) হিসাবে গণ্য করা হবে।
খ) প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সিলেকশন /মনোনয়ন/ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না ও অন্যান্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন না। তবে যদি কেউ আজীবন সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সিলেকশন/ মনোনয়ন ও অন্যান্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ - ৭(২) - আজীবন সদস্য
ক) প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্যকে অবশ্যই সৃজনশীল ও মুক্তচিন্তার অধিকারী এবং বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে ।
খ) গঠনতন্ত্রের শর্তাদি পালন সাপেক্ষে এবং এককালীন কমপক্ষে ৩,০০০/= টাকা জমা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য হতে পারবেন।
গ্রন্থাগারের স্বার্থে আজীবন সদস্য পদ গ্রহনের ক্ষেত্রে এককালীন ধার্যকৃত টাকার পরিমাণ পরিবর্তন করা যাবে, তবে আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় অনুমোদন নিতে হবে।
গ) আজীবন সদস্যদের মাসিক বা বাৎসরিক কোন চাঁদা বা কোন ফি দিতে হবে না। তবে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনে কোন প্রকার ফি/চাঁদা/চার্জ/দান/অনুদান আজীবন সদস্যদের ধার্য করা হয়, তাহলে প্রত্যেক আজীবন সদস্যকে উক্ত ফি/চাঁদা/চার্জ/দান/অনুদান গ্রন্থাগারের তহবিলে জমা দিতে হবে।
ঘ) আজীবন সদস্যের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা নূন্যতম ডিগ্রী পাশ হতে হবে ( বিশেষ বিবেচনায় শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য হতে পারে)।
ঙ) প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সিলেকশন /মনোনয়ন/ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন ও অন্যান্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ - ৭(৩) - সাধারণ সদস্য
ক) প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সামনে রেখে বাংলাদেশের মধ্যে যে কোন নাগরিক (কমপক্ষে ১৮ বছর) এ প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন।
খ) সদস্য হতে ইচ্ছুক যে কোন ব্যক্তিকে দুই কপি ছবিসহ নির্ধারিত ছকে যে কোন একজন গণ্যমান্য ব্যক্তির (প্রথম শ্রেণীর গ্রেজেটেট কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সদস্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, উক্ত জ্ঞানদীপ গণ গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠানের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও আজীবন সদস্য) সুপারিশসহ আবেদন করতে হবে।
গ) প্রত্যেক সাধারণ সদস্যদের নিকট হতে ভর্তি ফি বাবদ কোন প্রকার টাকা গ্রহন করা হবে না এবং বার্ষিক কোন প্রকার ফি নেই। তবে ধারে বই নিয়ে পড়ার জন্য এককালীন নিরাপত্তা জামানাত (ফেরতযোগ্য) হিসেবে ১০০/- (একশত) টাকা প্রদান করতে হবে।
ঘ) প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সিলেকশন /মনোনয়ন/ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না ও অন্যান্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন না।
অনুচ্ছেদ - ৮ - সদস্য পদ বাতিল
১. শিশু কিশোর সদস্য
ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপস্থী (অনুচ্ছেদ -৪ মোতাবেক) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে যে কোন শিশু কিশোর সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে।
খ) কোন সদস্য ধারে বই গ্রহন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিদ দেয়ার পরও বই ফেরত না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তার সদস্য পদ বাতিল ও জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
গ) কোন শিশু কিশোর সদস্যের বয়স ১৮ বৎসর অতিক্রান্ত হয়ে গেলে তার শিশু কিশোর সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
২. সাধারণ সদস্যঃ
ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্ত্রী (অনুচ্ছেদ -৪ মোতাবেক) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা করে যে কোন সাধারণ সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে।
খ) কোন সদস্য ধারে বই গ্রহন করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বা পরবর্তীতে তাগিদ দেয়ার পরও বই ফেরত না দিলে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহন করে তার সদস্য পদ বাতিল ও জামানতের অর্থ বাজেয়াপ্ত করা যাবে।
৩. আজীবন সদস্যঃ
ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্ত্রী (অনুচ্ছেদ -৪ মোতাবেক) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে আজীবন সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।
৪. উপদেষ্টা পরিষদঃ
ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্ত্রী (অনুচ্ছেদ -৪ মোতাবেক) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।
খ) উপদেষ্টা পরিষদের কোন সদস্যকে সম্মানিত আদালত তাহাকে কোন অপরাধ ও ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কারাদন্ডে দন্ডিত করেন তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ) উপদেষ্টা পরিষদের কোন সদস্য মানুষিক ভারসাম্য ও মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
৫. কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যঃ
ক) প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পরিপন্ত্রী (অনুচ্ছেদ -৪ মোতাবেক) কোন কাজে লিপ্ত থাকলে আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যকরী পরিষদের সদস্যদের সদস্য পদ বাতিল করা যাবে। সে ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রমাণসহ অভিযোগ পত্র দাখিল করতে হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্যকে সম্মানিত আদালত তাহাকে কোন অপরাধ ও ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কারাদন্ডে দন্ডিত করেন তাহলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য মানুষিক ভারসাম্য ও মস্তিস্ক বিকৃতি ঘটলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে।
অনুচ্ছেদ - ৯ - সদস্যদের অধিকার ও কর্তব্য
ক) প্রতিষ্ঠানের সকল সদস্য প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কাজে সম অধিকারের ভিত্তিতে অংশগ্রহন করবে।
খ) গ্রন্থাগারের পাঠক কক্ষ সমূহ সদস্যগণ ছাড়াও এলাকার সকল মানুষের জন্য উম্মুক্ত থাকবে।
গ) গ্রন্থাগার থেকে ধারে পড়ার সুবিধা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তবে পরবর্তীতে আজীবন সদস্যদের অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে পরিবর্তন করা হতে পারে।
ঘ) প্রস্তাব পেশ, সমর্থন ইত্যাদির বিষয়ে সম অধিকারের থাকবে এবং কাহারো প্রতি-কারো প্রতিবন্ধকতা থাকিবে না।
ঙ) আজীবন সদস্যদের সভার সিন্ধান্ত সমূহের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আলোচনা বা সমালোচনা এবং কোন আদালতে কোন কার্যধারা গ্রহন করা যাইবে না।
অনুচ্ছেদ - ১০ - উপদেষ্টা পরিষদ
ক) এলাকার বিদ্যালয়ের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সুশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যগণ কার্যনির্বাহী কমিটি গঠনে সিলেকশন/ মনোনয়ন ও ভোট দিতে পারবেন না । তবে যদি কেউ আজীবন সদস্য হয়ে থাকেন তাহলে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনে সিলেকশন/ মনোনয়ন ও অন্যান্য নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট দিতে পারবেন।
খ) গ্রন্থাগারের জন্য ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে। কাঠামো নিন্মরূপ ঃ-
প্রধান উপদেষ্টা - ১ জন
উপদেষ্টা - ৯ জন
গ) উপদেষ্টা পরিষদ লাইব্রেরি পরিচালনার কার্যনির্বাহী পরিষদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবেন।
ঘ) উপদেষ্টা পরিষদের কার্যকাল থাকবে ৩ (তিন) বছরের জন্য।
অনুচ্ছেদ - ১১ - কার্যনির্বাহী পরিষদ
ক) প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ থাকবে।
০১. সভাপতি - ১ জন
০২. সহ-সভাপতি - ৩ জন
০৩. সাধারণ সম্পাদক - ১ জন
০৪. সহ -সাধারণ সম্পাদক - ১ জন
০৫. সাংগঠনিক সম্পাদক - ১ জন
০৬. কোষাধ্যক্ষ - ১ জন
০৭. গ্রন্থাগার সম্পাদক - ১ জন
০৮. সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক - ১ জন
০৯. সমাজ কল্যাণ সম্পাদক - ১ জন
১০. দপ্তর সম্পাদক - ১ জন
১১. সদস্য - ৯ জন
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকাল থাকবে ৩ (তিন ) বছর।
গ) প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা পরির্বতনযোগ্য।
অনুচ্ছেদ - ১২ - কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন/নির্বাচন, এ্যাডহক কমিটি গঠন ও উপদেষ্টা পরিষদ গঠন
অনুচ্ছেদ - ১২ - (ক) কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন/নির্বাচন
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল পদ পাঠাগারের বিষয়ে আগ্রহী থাকবেন এমন ব্যক্তিবর্গ মনোনীত হবেন ।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদ শুধু মাত্র প্রতিষ্ঠানের আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) প্রদানের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হবে । উল্লেখ্য যে, চলমান কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৩০ দিন পূর্ব হতেই মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) মাধ্যমে পরবর্তী নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।
গ) সাধারণ সভায় আজীবন সদস্যদের দুই - তৃতীয়াংশ সদস্য যদি নির্বাচন না চায়, তবে নির্বাচন না করে উক্ত সভাতেই সিলেকশন / মনোনয়নের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা যাবে।
ঘ) সিলেকশন/মনোনয়নের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা সম্ভব না হয় তাহলে আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোনীত উপদেষ্টা পরিষদের মধ্য হতে অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদের পদপ্রার্থী নন এমন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হবে। নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ঠ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার - ১ জন
নির্বাচন কমিশনার - ২ জন
ঙ) নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকতা পরবর্তী ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে আজীবন সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে (গোপন ব্যালট) একটি নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করে দিবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে নির্বাচন কর্মকতা নির্বাচনী নোটিশ প্রদান করবেন।
চ) নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোটের (গোপন ব্যালট) মাধ্যমে চুড়ান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত শপথ গহণ ও শপথপত্রে বা ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষরদান করে নব গঠিত কমিটি দায়িত্ব গ্রহন করবেন মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোটের (গোপন ব্যালট) মাধ্যমে চুড়ান্ত হওয়ার পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যেই ।
তবে শর্ত থাকে যে, পুরাতন/পূর্ববর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ দায়িত্ব হস্তান্তরে পর নব গঠিত কমিটির সময়কাল ও কার্যক্রম শুরু হবে এবং পুরাতন/পূর্ববর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদ বিলুপ্ত বলে গণ্য হবে। [ হস্তান্তর প্রক্রিয়া করতে হবে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোটের (গোপন ব্যালট) মাধ্যমে চুড়ান্ত হওয়ার পরবর্তী ৩ দিনের মধ্যেই ]।
ছ) কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা জরুরী অবস্থা বা কোন বিশেষ অথবা যৌক্তিক কারণে কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকালের শেষ তারিখ এর মধ্যে আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) প্রদানের মাধ্যমে নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে উক্ত মেয়াদকালের পর পুরাতন কার্যনির্বাহী পরিষদ আপনা আপনি বিলুপ্ত বলে গন্য হবে। আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের মেয়াদকালের শেষ তারিখের মধ্যেই মনোয়ন / সিলেকশন মাধ্যমে অনধিক ৭ সদস্যের একটি এ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিবেন।
জ) কার্যকরী পরিষদ/ এ্যাডহক কমিটি কার্যক্রম যদি সন্তুষজনক পরিলক্ষিত না হয়, তাহলে আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদ/ এ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত করতে পারবে। আজীবন সদস্যগণ নতুন করে কার্যনির্বাহী কমিটি ও এ্যাডহক কমিটি গঠন করার ক্ষমতা রাখে। [অনুচ্ছেদ - ১২(ক) - (ক থেকে ছ) এর বিধি বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী ]
ঝ) কার্যকরী পরিষদের কোন সদস্যের কার্যক্রম যদি সন্তুষজনক পরিলক্ষিত না হয়, তাহলে আজীবন সদস্যগণ কার্যনির্বাহী পরিষদের যেকোন সদস্যদকে সদস্য পদ থেকে অব্যহতি/বাতিল করে নতুন কার্যনির্বাহী সদস্য নিয়োগ করার ক্ষমতা রাখে ।
নিয়োগ বিধিঃ [অনুচ্ছেদ - ১৪(গ) এর বিধি বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী ]
অনুচ্ছেদ - ১২ -(খ) এ্যাডহক কমিটি গঠন
ক) আজীবন সদস্যগণ অনধিক ৭ (সাত) সদস্যের একটি এ্যাডহক কমিটি গঠন করে দিবেন।
০৭ (সাত) সদস্য বিশিষ্ট এ্যাডহক কমিটি নিন্মরূপঃ
১. সভাপতি - ১ জন
২. সাধারণ সম্পাদক - ১ জন
৩. কোষাধ্যক্ষ - ১ জন
৪. সাংগঠনিক সম্পাদক - ১ জন
৫. গ্রন্থাগার সম্পাদক - ১ জন
৬. দপ্তর সম্পাদক - ১ জন
৭. সদস্য - ১ জন
খ) এ্যাডহক কমিটির কাজ হবে প্রতিষ্ঠানের দৈনন্দিন রুটিন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং ৩ (তিন) মাস সময়ের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা । [ অনুচ্ছেদ - ১২(ক) - (ক থেকে চ) এর বিধি বিধান বা নিয়ম অনুযায়ী ]
গ) এ্যাডহক কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত ৩ মাস সময়ের মধ্যে কার্যকরী নির্বাহী কমিটি গঠন করা সম্ভব না হলে, এ্যাডহক কমিটি বিলুপ্ত হবে এবং উক্ত সময়ের মধ্যেই আজীবন সদসগণ সিলেশনের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করে দিবেন।
ঘ) আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোয়ন / সিলেকশন মাধ্যমে এ্যাডহক কমিটি চুড়ান্ত হওয়ার পর নির্ধারিত শপথ গহণ ও শপথপত্রে বা ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষরদান করে এ্যাডহক কমিটির সদস্যগণ দায়িত্ব গ্রহন করবেন
অনুচ্ছেদ - ১২ - (গ) উপদেষ্ঠা পরিষদ গঠন
ক) নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠনের পর আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোয়ন / সিলেকশন এর মাধ্যমে উপদেষ্টা পরিষদ পূর্নগঠন করতে পারবেন।
অনুচ্ছেদ - ১৩ - কার্যনির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা
১) সভাপতি
ক) সভাপতি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
খ) তিনি প্রতিষ্ঠানের সকল প্রকার সভার ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করবেন।
গ) কোন বিষয়ে মতবিরোধ দেখা দিলে তিনি চুড়ান্ত সিন্ধান্ত প্রদান করবেন।
ঘ) তিনি সাধারণ সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষের সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করবেন।
ঙ) তিনি সমস্ত প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজের চুড়ান্ত অনুমোদন প্রদান করবেন।
চ) সভাপতি বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরী/বিশেষ সাধারণ সভা, সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ও উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহবান করতে পারবেন।
ছ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলীর প্রতিবেদন পেশ করতে পারবেন।
২) সহ-সভাপতি
ক) সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন।
খ) সভাপতির ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক অর্পিত যে কোন সুনিদিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
৩) সাধারণ সম্পাদক
ক) প্রতিষ্ঠানের মূখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন।
খ) প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন।
গ) সভাপতির অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান) বার্ষিক সাধারণ সভা, অতিরিক্ত/জরুরী/বিশেষ সাধারণ সভা, সাধারণ সভা, কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করা।
ঘ) সভাপতির সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা।
ঙ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যাবলীর প্রতিবেন পেশ।
চ) নির্বাহী পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজের তদারকী করা।
ছ) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় সম্পদাদি সুরক্ষার দায়িত্ব পালন।
৪) সহ-সাধারণ সম্পাদক
ক) সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে তার দায়িত্ব পালন।
খ) সাধারণ সম্পাদকের সকল দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা।
গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
৫) কোষাধ্যক্ষ
ক) প্রতিষ্ঠানের তহবিল সংরক্ষনের দায়িত্ব পালন।
খ) বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ও কাযনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে সাধারণ সভায় উপস্থাপন।
গ) প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বা কর্মবৎসরের আয় -ব্যযের হিসাব ও উদ্ধৃত্ত পত্রের বিররণী তৈরি ও হিসাব নিরীক্ষায় সহায়তা প্রদান ও বার্ষিক সাধারণ সভায় নিরীক্ষা প্রতিবেদন উপস্থাপন।
ঘ) চাঁদা/ফি/চার্জ/দান/অনুদান এবং অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী অনুদান গ্রহন/সংগ্রহ ও তা ব্যাংক হিসাবে জমাকরণ।
ঙ) প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আর্থিক লেনদেন পরিচালনায় প্রচলিত আর্থিক বিধি বিধান অনুসরণ।
চ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অপর যে কোন কাজের দায়িত্ব পালন।
ছ) সভাপতির সাথে যৌথভাবে (যুগ্ম স্বাক্ষরে) ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করা।
৬) সাংগঠনিক সম্পাদক
ক) প্রতিষ্ঠানের জনসংযোগ কার্যক্রম জোরদার করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন।
খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
৭) পাঠাগার সম্পাদক
ক) পাঠাগার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় বিধি বিধান প্রনয়ন।
খ) পাঠাগার পরিচালনার ক্ষেত্রে লাইব্রেরিয়ান ও লাইব্রেরি কর্মীদের কার্যাদি তদারকী।
গ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক প্রদত্ত অপর যে কোন কাজের দায়িত্ব পালন।
৮) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক
ক) পাঠাগারকে কেন্দ্র করে এলাকার সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি এবং এ সংক্রান্ত নানা কর্মসূচী প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদনক্রমে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন।
খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
৯) সমাজ কল্যাণ সম্পাদক
ক) পাঠাগারকে কেন্দ্র করে এলাকার জনগনের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন, বাল্য বিবাহ রোধ, মাদকমুক্ত
সমাজ, স্বাক্ষরতা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য, পরিবেশ সংরক্ষণ, নিরক্ষতা দুরীকরণ ইত্যাদি বিষয়ে নানা কর্মসূচী প্রণয়ন ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমতিক্রমে তা বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন।
খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
১০) দপ্তর সম্পাদক
ক) দাপ্তরিক রেকর্ডপত্র যথাযথভাবে সংরক্ষণ এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্ব পালন।
খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
১১) সদস্য
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের সকল কর্মকান্ড গ্রহন ও বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহন ও সহযোগীতা প্রদান।
খ) সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যনির্বাহী পরিষদ প্রদত্ত অপর যে কোন সুনির্দিষ্ট কাজের দায়িত্ব পালন।
অনুচ্ছেদ - ১৪ - পদত্যাগ/পদ শূন্য
ক) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্য স্বাক্ষরযুক্ত লিখিত পত্র প্রদান করে পদত্যাগ করতে পারবেন। সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক - যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হতে উক্ত সদস্যের সদস্যপদ শুন্য হবে।
খ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য পদ শুন্য হবে যদি-
১) কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন ও কার্যনির্বাহী সদস্যপদ গঠনের পর নবগঠিত কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের দায়িত্ব গ্রহনের তারিখ হতে ৯০ দিনের মধ্যে তিনি যদি কোন সদস্য নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষনা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষনাপত্রে স্বাক্ষরদান না করলে।
২) কার্যনির্বাহী পরিষদের লিখিত অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে ৪টি সভায় অনুপস্থিত থাকেন।
৩) কার্যনির্বাহী পরিষদ ভাঙ্গিয়া যায় বা বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়।
৪) কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন সদস্যকে সম্মানিত আদালত তাহাকে কোন অপরাধ ও ফৌজদারী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কারাদন্ডে দন্ডিত করেন।
গ) কার্যনির্বাহী পরিষদের যে কোন পদ হইতে পদত্যাগ বা পদ শূন্য ও অন্য কোন কারণে পদ শূন্য হলে, পদ শুন্যের তারিখ হতে অনধিক ৩০ দিনের মধ্যেই আজীবন সদস্য দ্বারা মনোনয়ন / সিলেকশন / নির্বাচন / ভোট (গোপন ব্যালট) প্রদানের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। তবে শর্ত থাকে যে, আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় দুই - তৃতীয়াংশ সদস্য যদি নির্বাচন না চায়, তবে নির্বাচন না করে উক্ত সভাতেই সিলেকশন / মনোনয়নের মাধ্যমে শূন্য পদে নতুন সদস্য নেয়া যাবে।
নির্বাচন প্রয়োজন হলে, পদত্যাগ/পদ শূন্য জায়গায় নতুন সদস্য নিয়োগ নির্বাচন বিধিঃ
আজীবন সদস্য কর্তৃক মনোনীত উপদেষ্টা পরিষদের মধ্য হতে অথবা কার্যনির্বাহী পরিষদের কোন পদের পদপ্রার্থী নন এমন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসাবে নিয়োগ দেয়া হবে। নির্বাচন কার্য পরিচালনার জন্য একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ ৩ (তিন) সদস্য বিশিষ্ঠ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচন কর্মকতা পরবর্তী ২১ (একুশ) দিনের মধ্যে আজীবন সদস্যদের ভোটের মাধ্যমে (গোপন ব্যালট) নতুন কার্যনির্বাহী সদস্য নিয়োগ ও শুন্য পদ পূরণ করে দিবেন। নির্বাচন অনুষ্ঠানের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে নির্বাচন কর্মকতা নির্বাচনী নোটিশ প্রদান করবেন।
অনুচ্ছেদ - ১৫ - সভাসমূহ
ক) সাধারণ সভা
বছরে অন্ততঃ একবার সাধারণ সভা আহবান করতে হবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
খ) বার্ষিক সাধারণ সভা
প্রত্যেক বৎসরে একটি বার্ষিক সাধারন সভা করতে হবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
বার্ষিক সাধারন সভার কার্যক্রম নিন্মরূপ
(ক) প্রতিষ্ঠানের বিগত আর্থিক বা কর্ম বৎসরের কার্যক্রমের প্রতিবেদন উপস্থাপন, বিবেচনা ও অনুমোদন।
(খ) প্রতিষ্ঠানের বিগত আর্থিক বা কর্ম বৎসরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও উদ্ধৃত্ত পত্রের বিরবণী বা আর্থিক বিবরণীর উপস্থাপন ও অনুমোদন।
(গ) প্রতিষ্ঠানের বর্তমান আর্থিক বা কর্ম বৎসরের বাজেট উপস্থাপন ও অনুমোদন।
(ঘ) অডিটর নিয়োগ ও অডিট ফিস নির্ধারণ।
(ঙ) কার্যনির্বাহী পরিষদ কর্তৃক উপস্থাপিত অন্যান্য বিষয়সমূহ আলোচনা ও অনুমোদন।
গ) জরুরী / বিশেষ / অতিরিক্ত সাধারণ সভা ঃ
প্রয়োজনে যে কোন সময় জরুরী / বিশেষ / অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহবান করা যাবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ৩ (তিন) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
ঘ) কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা
সাধারণ অবস্থায় মাসে একবার অথবা তা সম্ভব না হলে অন্ততঃ তিন মাসে একবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হতে হবে এবং উল্লেখ থাকে যে, যতবার প্রয়োজন ততবার কার্যনির্বাহী পরিষদের সভা আহবান করা যাবে। সভা অনুষ্ঠানের নিদিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ৭ (সাত) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
তবে, কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভার ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২৪ ঘন্টার নোটিশে সভা আহবান করা যাবে। কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরী সভার সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
ঙ) আজীবন সদস্যদের সভা
বছরে অন্ততঃ একবার আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভা আহবান করতে হবে। উল্লেখ থাকে যে, যতবার প্রয়োজন ততবার আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভা আহবান করা যাবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ১৫ (পনের) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
প্রয়োজনে যে কোন সময় আজীবন সদস্যদের জরুরী / বিশেষ / অতিরিক্ত সাধারণ সভা আহবান করা যাবে। সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ৩ (তিন) দিন পূর্বে সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচীসহ সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
চ) উপদেষ্টা পরিষদের সভা
প্রধান উপদেষ্টার অনুমতিক্রমে (লিখিত অনুমতিপত্র প্রদান) সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক উপদেষ্টা পরিষদের সভা আহবান করবেন । সভা অনুষ্ঠানের নির্দিষ্ট তারিখের অন্ততঃ ৭ (সাত) দিন পুর্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভার বিজ্ঞপ্তি জারী করবেন।
অনুচ্ছেদ - ১৬ - কোরাম
মোট সদস্যের দুই -তৃতীয়াংশ উপস্থিতিতে যে কোন সভার কোরাম পূর্ন হবে।
অনুচ্ছেদ - ১৭ - তহবিল সংরক্ষণ ও পরিচালনা
ক) প্রতিষ্ঠানের অর্থ যে কোন তফসিলী ব্যাংকে চলতি অথবা সঞ্চয়ী হিসাব খুলে সেখানে জমা ও উত্তোলনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
খ) সভাপতির সাথে সাধারণ সম্পাদক অথবা কোষাধ্যক্ষের যুগ্ম- স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালিত হবে।
গ) প্রতিষ্ঠানের তাৎক্ষণিক ব্যয় নির্বাহের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা নগদ হাতে রাখা যাবে।
ঘ) প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যয় বহন করা যাবে।
অনুচ্ছেদ - ১৮ - হিসাব ও হিসাব নিরীক্ষা
ক) প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বা কর্ম বৎসরের আয় -ব্যয়ের হিসাব ও উদ্ধৃত্ত পত্রের বিররণী নির্ধারিত তারিখের মধ্যে তৈরি করা।
খ) প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বা কর্ম বৎসরের হিসাব নিরীক্ষার জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি হিসাব নিরীক্ষা কমিটি গঠন করতে হবে।
গ) হিসাব নিরীক্ষা কমিটির মাধ্যমে হিসাব যাচাই বাছাই করে, হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ ও গৃহীত হতে হবে অথবা চার্টার্ড একাউন্টিং ফার্মের মাধ্যমে অডিটর বা হিসাব নিরীক্ষক দ্বারা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বা কর্ম বৎসরের আয় -ব্যয়ের হিসাব ও উদ্ধৃত্ত পত্রের বিররণী নিরীক্ষা করে হিসাব নিরীক্ষা প্রতিবেদন বার্ষিক সাধারণ সভায় পেশ ও গৃহীত হতে হবে।
অনুচ্ছেদ - ১৯ - গঠনতন্ত্র সংশোধন
ক) এই গঠনতন্ত্রের কোন অনুচ্ছেদ/বিধান সংযোজন, পরিবর্তন, প্রতিস্থাপন বা রহিতকরণের দ্বারা সংশোধন করা যাবে।
তবে শর্ত থাকে যে, কোন অনুরূপ সংশোধনীর জন্য আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করতে হবে।
খ) গঠনতন্ত্রের সংশোধন নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহন করতে হবে।
অনুচ্ছেদ - ২০ - প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি
যদি কোন কারণে প্রতিষ্ঠানের বিলুপ্তি সাধন করতেই হয়, তবে আজীবন সদস্যদের সাধারণ সভায় মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সর্বসম্মতিক্রমে বিলুপ্তি কার্যকর করতে হবে। এই রূপ বিলুপ্তি অবশ্যই তালিকাভুক্তিকরণ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণরূপে তালিকাভুক্তিকরণ কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রনাধীন থাকবে। তালিকাভুক্তিকরণ কর্তৃপক্ষ যদি গ্রন্থাগারটি কার্যক্রম অব্যাহত না রেখে বন্ধ করে দেন, তাহলে তালিকাভুক্তিকরণ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই গ্রন্থাগারের যাবতীয় স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ও তহবিল অন্য কোন এক বা একাধিক প্রতিষ্ঠানে দান করতে হবে।