- +8801816638366
- info@gyandeep.org
ছায়াঘন সবুজ গাছ-গাছালি বেষ্টিত গ্রামের নাম হলো কররা, কাওয়ালজানী, কান্দাপাড়া। গ্রামগুলো টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের অর্ন্তগত অনেক পুরাতন গ্রাম। ১৯৩৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কাওয়ালজানী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১৯৮৫ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কররা কাওয়ালজানী দাখিল মাদ্রাসা এবং গ্রামের অভিজ্ঞ, সুদক্ষ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯০ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কররা কাওয়ালজানী কান্দাপাড়া জামে মসজিদ। ১৯৯২ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় প্রগতি সংঘ। গ্রামের মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় ২০০০ ইং সালে স্থাপিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক।
সেই অতীত কাল হতেই এই সকল গ্রামে জন্ম গ্রহনকারী অনেক মানুষ দেশ বিদেশে সুনামের সাথে কৃর্তিবান হয়ে গ্রামের গৌরব বৃদ্ধি করে আসছে । অত্র গ্রামে শিক্ষার আলো ক্রমান্নয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অংঙ্গনের খুটি যে অনেক মজবুত তার প্রমাণ মেলে এই গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ, বার্ষিক খেলাধুলা, নাট্যানুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ধর্মীয় সভা ও ইসলামিক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে ।
পাঠাগার সাহিত্য চর্চা ও বিনোদনের একটি সবুজ সংস্থা, জ্ঞানের আশ্রম, শান্তির নীড় ও অসা¤প্রদায়িক ভাতৃপ্রতীম প্রতিষ্ঠান। আলোকিত মানুষ তৈরিতে গ্রন্থাগারের অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি আপামর জনমনে প্রভাব বিস্তার করেছে। সুস্থ মানুষের জন্য পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দেরীতে হলেও আমরা এ সত্য অনুধাবন করতে পেরেছি।
কররা, কাওয়ালজানী, কান্দাপাড়া গ্রামের মানুষগুলো যেন একে অপরের সাথে মিলে মিশে কাজ করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ। গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠার ইচ্ছাটিই এই কোমল মনের মানুষের আন্তরিকতার বহিঃ প্রকাশ। এমতাবস্থায় তাদের জন্য একটি পাঠাগার এবং পাঠ গ্রহনের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা থাকলে নিজেরা সমৃদ্ধহয়ে আলোকিত মানুষ হবে। এলাকার নর-নারী নির্বিশেষে সৃজনশীল সাহিত্য চর্চা, অধ্যবসায়, জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎকর্ষ সাধন, মানবিক মূল্যবোধের উদ্বুদ্ধকরণ, শিক্ষার প্রসার, সামাজিক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও অবক্ষয় রোধকল্পে পাঠাগার একটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে বলে সতেচন এলাকাবাসী বিশ্বাস করেন। শিশুদের আগামী দিনের সু-নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে এ পাঠাগার সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। পাঠাগার জ্ঞানের প্রদীপ হয়ে জ্ঞান বিস্তরণে অবিচল থাকবে নিড়ন্তর।